কখনো ভরা আষাঢ়ের মধ্যাহ্নে
মাঝ সমুদ্রে একটানা বেজে চলছে একটা সাইরেন।
থমকে যাওয়া ঘড়ির কাঁটায়
হেঁটে আসি নিকট অতীতের অজানা সেই
বালুকাবেলায়।
ঘনিয়ে আসে অন্ধকার,
নীড়ে ফিরে গেছে দু’টো সারস।
কি দুর্বিষহ আঁধার এক,
আছড়ে পড়ে অব্যক্ত যন্ত্রণার শব্দ বুকে নিয়ে।
মাঝ সমুদ্রে একটানা বেজে চলছে একটা সাইরেন।
চাপা পড়ে গেছে,
গর্জনরত তরঙ্গের উদ্বাহু নৃত্যের কাছে ।
বুঝিবা কোন বন্দী পশুর ক্রোধ,
সুযোগ পেলেই ছিঁড়ে ফেলবে গোটা পৃথিবী।
পল পল করে পেরিয়ে যাচ্ছে সময়,
সম্মুখেই সে তরঙ্গের শীতল হাতছানি,
মনে হয় ধ্বংস অতি নিকটেই।
স্থির চোখ, পলকহীন, আর বয়ে চলা স্রোত সময়ের।
কিন্তু না, হঠাৎ থেমে গেছে সাইরেন।
আমি যেন প্রথম দেখলাম।
শান্ত সমুদ্রের মায়াময় উষ্ণতা বয়ে নিয়ে যাওয়া
সেই সিক্ত বাতাস,
বলে গেল চুপিচুপি,
এগিয়ে যাও, সামনে আরেকটু পথ।
তারপরেই সে বাতিঘর,
যে বাতিঘর কখনো নেভে না।।।
শান্ত সমুদ্রের মায়াময় উষ্ণতা বয়ে নিয়ে যাওয়া সেই সিক্ত বাতাস,
উত্তরমুছুনবলে গেল চুপিচুপি,
এগিয়ে যাও, সামনে আরেকটু পথ।
তারপরেই সে বাতিঘর,
যে বাতিঘর কখনো নেভে না।।।