সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

কবিতার প্রহর ৫

তুমি নিজের চোখে তাকাও যদি যুগের প্রতি
মহাশূন্যে আলোকিত করবে তোমার ঊষার জ্যোতি।
তোমার স্ফুলিঙ্গ থেকে সূর্য আলো করবে আহরণ,
চাঁদের মুখাবয়ব থেকে তোমার সৌভাগ্যের হবে স্ফুরণ।

তোমার চিন্তার মুক্তামালায় সাগর হবে তরঙ্গায়িত,
আর প্রকৃতি তোমার অলৌকিক নৈপুণ্যে হবে লজ্জিত।
অন্যের চিন্তার দুয়ারে তোমার এ ভিক্ষাবৃত্তি?
তুমি কি হারিয়েছো তোমার খুদীর সীমান্তে পৌঁছার শক্তি?

- আল্লামা ইকবাল

সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০১৪

বিন্দু বিন্দু জল

- 'নিষ্কৃতি' জীবনে বেশ দুষ্প্রাপ্য একটা শব্দ। অভিধানেই শুধু খুঁজে পেলাম।

- কখনো এমন হয়, পার্থিব অনেক ভালবাসা সত্ত্বেও ভেতরটা কেমন জানি খাঁ খাঁ করে। অন্তরে অপূর্ণতা রয়েই যায়। মনে হয় সত্যিকারের ভালবাসাকে যেন অনেক পেছনে ফেলে এসেছি। যে ভালবাসা নশ্বর পৃথিবীর মায়াজালে আটকা পড়ে না।

- দুনিয়া আর তার নোংরা মানুষগুলোর পেছনে ছোটা কখনো একটা সুখের স্মৃতি হতে পারে না। এদের অবস্থা শুকনো ধুলোর মত। গভীরে দাগ কাটে না। বাতাসের ঝাপটায় হারিয়ে যায় কালান্তরে।

- যতই ভাবি পরিবর্তন দরকার ততই তা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠে। পরে মনে হয় কোন 'পরিবর্তন' ই তো কখনো সহজ ছিল না। 

- মাঝে মাঝে অবাক হয়ে আশে-পাশের মানুষগুলোর দিকে তাকাই। এত রঙে যে এরা জীবনকে সাজায়! সময়ের সাথে সাথে রঙ পরিবর্তিত হয়। কিন্তু এরা কী ভুলে গেছে ধূসরও একটা রঙ আছে!

- কিছু স্মৃতি জীবনকে শক্ত করে। ক্ষতগুলো রয়ে যায়। কালের আবর্তনে শুকায় শুধু! জীবনে সে সকল ক্ষতের দরকার অস্বীকার করা যায় না। তারা না থাকলে যে সাবধানে চলার কথা মনে থাকে না। বারবার হোঁচট খেতে হয়।     

শনিবার, ১ মার্চ, ২০১৪

স্বর্ণযুগের হাতছানি ৩

খলীফা আবু বকর (রা.) - এর সময়কাল। ভণ্ড নবী তুলাইহার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রা.)। তুমুল লড়াই চলছে। প্রতিটি সংঘর্ষেই তুলাইহার সঙ্গীরা পরাজয় বরণ করছে। একদিন তুলাইহা তার ঘনিষ্ঠজনদের কাছে জিজ্ঞেস করলো, আমাদের এমন পরাজয় হচ্ছে কেন? তারা বললো, কারণ, আমাদের প্রত্যেকেই চায় তার সঙ্গীটি আগে মারা যাক। অন্যদিকে আমরা যাদের সাথে লড়ছি , তাদের প্রত্যেকেই চায় তার সঙ্গীর পূর্বে সে মৃত্যুবরণ করুক।

 

মিকদাদ ইবন ‘আমর (রা.)। তিনি প্রথম পর্যায়ের সাত ব্যক্তির অন্যতম যারা ইসলামের প্রাথমিক যুগে চরম অত্যাচারের মুহূর্তেও প্রকাশ্যে নিজেদের ঈমান আনার কথা ঘোষণা করেন।
রাসূল (সা.) একবার তাকে একটি দলের আমীর নিযুক্ত করেন। তিনি ফিরে আসলে রাসূল (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, নেতৃত্ব কেমন লাগলো? জবাবে তিনি বড় একটি সত্য কথা বলে ফেলেন। বলেন, ‘নিজেকে আমার সবার ওপরে এবং অন্যদের আমার নিচে মনে হয়েছে। যিনি সত্যসহ আপনাকে পাঠিয়েছেন, তাঁর শপথ, আজকের পর আর কক্ষনো আমি দু’ব্যক্তির ওপর আমীর হবো না।’ তিনি সবসময় এ হাদিসটি আওড়াতেন : ‘ফিতনা থেকে যে ব্যক্তি পরিত্রাণ পেয়েছে, সে প্রকৃত সৌভাগ্যবান।’

তথ্যসূত্র : আসহাবে রাসূলের জীবনকথা