গল্পটা পড়েছিলাম ছোটবেলায়, একটা আই. কিউ টেস্টের প্রশ্ন হিসেবে। কিন্তু, এর মাঝে লুকিয়ে থাকা শিক্ষাটা এত চমৎকারভাবে ভেবে দেখিনি। কয়েকদিন আগে শাইখ যাহির মাহমুদ এর পেইজে এটি পড়ার পর মনে হল, আসলেই স্বচ্ছ অন্তর্দৃষ্টির মানুষেরা সবকিছুর লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য্যটাও খুঁজে পান।
এক বৃদ্ধ পিতা মারা যাওয়ার পূর্বে তার তিন ছেলের জন্য সম্পত্তি হিসেবে ১৭ টি উট রেখে যান। সম্পত্তি বণ্টনের ব্যাপারে তিনি তার শেষ ইচ্ছা উইলে লিখে যান। তার মৃত্যুর পর সন্তানরা যখন উইলটি খুলল, তখন দেখল তাতে লিখা রয়েছে, বড় ছেলে পাবে সম্পত্তির অর্ধেক; অর্থাৎ ১৭ টি উটের অর্ধেক। মেজ ছেলে পাবে এক তৃতীয়াংশ আর ছোট ছেলে পাবে নয় ভাগের এক ভাগ সম্পত্তি। তিন ছেলেই পড়ল মহাবিপাকে। বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ভাগ করতে গেলে তো উটগুলি কাটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি আরম্ভ হয়ে গেল। পরে তারা তাদের বাবার এক বন্ধুর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানী লোক। সবশুনে তিনি বললেন, আমার নিকট একটি উট রয়েছে। এটি সহ তোমাদের এখন ১৮ টি উট হল।
তাহলে ১৮ এর অর্ধেক হচ্ছে ৯, তাই বড় ছেলে পাচ্ছে ৯ টি।
এক তৃতীয়াংশ হচ্ছে ৬, তাই মেজ ছেলে পাচ্ছে ৬ টি।
আর এক নবমাংশ হচ্ছে ২, ছোট ছেলের ভাগে তাই ২ টি।
এখন, ৯ + ৬ + ২ = ১৭; বাকী যে উটটি রয়েছে সেটি আমার, এবং আমি তা ফেরত নিচ্ছি।
শিক্ষা (শাইখ যাহির মাহমুদ এর পেইজ থেকে অনুবাদকৃত) :
কোন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আমরা যদি আপোষ করতে চাই তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের উদ্দেশ্য এবং আচরণ হওয়া উচিত ১৮ নং উটটি খুঁজে বের করার মত অর্থাৎ, সকলের মতের ভিত্তিতে একটি ঐক্যে পৌঁছানো। যখন মতৈক্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে, তখন বিরোধ নিষ্পত্তির একটা উপায়ও বের হবে। যদিও কখনও কখনও এটি বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তা সত্ত্বেও, সমাধানে পৌঁছানোর প্রথম ধাপটি হল এটা মেনে নেয়া যে, অবশ্যই প্রত্যেক সমস্যারই একটি সমাধান রয়েছে। যদি আমরা আগেই ভেবে নেই যে, এর কোন সমাধান সম্ভব না, তাহলে আমরা কখনই তাতে পৌঁছাতে পারবনা।
এক বৃদ্ধ পিতা মারা যাওয়ার পূর্বে তার তিন ছেলের জন্য সম্পত্তি হিসেবে ১৭ টি উট রেখে যান। সম্পত্তি বণ্টনের ব্যাপারে তিনি তার শেষ ইচ্ছা উইলে লিখে যান। তার মৃত্যুর পর সন্তানরা যখন উইলটি খুলল, তখন দেখল তাতে লিখা রয়েছে, বড় ছেলে পাবে সম্পত্তির অর্ধেক; অর্থাৎ ১৭ টি উটের অর্ধেক। মেজ ছেলে পাবে এক তৃতীয়াংশ আর ছোট ছেলে পাবে নয় ভাগের এক ভাগ সম্পত্তি। তিন ছেলেই পড়ল মহাবিপাকে। বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ভাগ করতে গেলে তো উটগুলি কাটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি আরম্ভ হয়ে গেল। পরে তারা তাদের বাবার এক বন্ধুর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। তিনি ছিলেন একজন জ্ঞানী লোক। সবশুনে তিনি বললেন, আমার নিকট একটি উট রয়েছে। এটি সহ তোমাদের এখন ১৮ টি উট হল।
তাহলে ১৮ এর অর্ধেক হচ্ছে ৯, তাই বড় ছেলে পাচ্ছে ৯ টি।
এক তৃতীয়াংশ হচ্ছে ৬, তাই মেজ ছেলে পাচ্ছে ৬ টি।
আর এক নবমাংশ হচ্ছে ২, ছোট ছেলের ভাগে তাই ২ টি।
এখন, ৯ + ৬ + ২ = ১৭; বাকী যে উটটি রয়েছে সেটি আমার, এবং আমি তা ফেরত নিচ্ছি।
শিক্ষা (শাইখ যাহির মাহমুদ এর পেইজ থেকে অনুবাদকৃত) :
কোন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আমরা যদি আপোষ করতে চাই তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের উদ্দেশ্য এবং আচরণ হওয়া উচিত ১৮ নং উটটি খুঁজে বের করার মত অর্থাৎ, সকলের মতের ভিত্তিতে একটি ঐক্যে পৌঁছানো। যখন মতৈক্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে, তখন বিরোধ নিষ্পত্তির একটা উপায়ও বের হবে। যদিও কখনও কখনও এটি বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তা সত্ত্বেও, সমাধানে পৌঁছানোর প্রথম ধাপটি হল এটা মেনে নেয়া যে, অবশ্যই প্রত্যেক সমস্যারই একটি সমাধান রয়েছে। যদি আমরা আগেই ভেবে নেই যে, এর কোন সমাধান সম্ভব না, তাহলে আমরা কখনই তাতে পৌঁছাতে পারবনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন